স্কুল কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টানা ঘেরাও পড়ুয়াদের , শীত উপেক্ষা করে আন্দোলন

18th January 2021 11:05 pm বর্ধমান
স্কুল কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে টানা ঘেরাও পড়ুয়াদের , শীত উপেক্ষা করে আন্দোলন


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : রি অ্যাডমিশন ফি না দিলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া হবে না।স্কুল কর্তৃপক্ষের হঠকারী এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার পড়ুয়ারা শিক্ষিকাদের আটকে রেখে দিল। সকাল থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে সেই আন্দোলন চলছে এখনও। দুর্গাপুরের বিধান চন্দ্র ইনস্টিটিউশন ফর গার্লসের এই ঘটনায় ছুটে এল পুলিশ।পড়ুয়াদের অভিযোগ, আদালতের রায় মেনে তারা সবরকম ফি দিতে রাজি কিন্তু কোনোভাবেই রি অ্যাডমিশন ফি তারা দেবেন না । কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছেন এই টাকা না দিলে ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া হবে না । আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুলের পড়ুয়ারা, বসে পড়ে স্কুলের গেটের সামনে চলে স্লোগান। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই পড়ুয়াদের দাবী মানতে নারাজ ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হতে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে শেষ পর্যন্ত আসরে নামেন দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অর্ঘ্যপ্রসূন কাজী, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ব্রততী মৈত্রকে পাঠান স্কুলে, মঙ্গলবার মহকুমা শাসকের দফতরের স্কুলকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হলেও অভিবাবক ও পড়ুয়ারা সাফ জানিয়ে দেন আলোচনা করতে তারা প্রস্তুত ।, কিন্তু ফর্ম ফিলাপ যত রাতই হোক আজকেই করতে দিতে হবে । এতে পরিস্তিতি আরো বিগড়ে যায় ভেস্তে যায় আলোচনা। এখনও স্কুলের শিক্ষিকারা আটকে রয়েছেন স্কুলের ভেতর ।  এরই মধ্যে আন্দোলনরত এক ছাত্রী অসুস্থ  হয়ে পড়াতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।